আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আট দফার আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছেনছবি: প্রথম আলো

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আট দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাঁদের কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালকের পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে তাঁরা আজ মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন। এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন থেকে নেমে যাওয়ার সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপকালে প্রক্টর মোজাম্মেল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়ে আজ কিংবা আগামীকালের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির নিশ্চয়তা দেন। তদন্ত শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত প্রক্টর কোনো দায়িত্ব পালন করবেন না বলেও উপাচার্য আশ্বাস দেন। এ ছাড়া ব্যানার ও ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনায় জড়িতদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করার বিষয়ে ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, উপাচার্য শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিও মেনে নেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দেন। তাই শিক্ষার্থীরা আপাতত তাঁদের কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। প্রজ্ঞাপন দেখে শিক্ষার্থীরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন।

আরও পড়ুন

এদিকে আন্দোলন চলাকালে বেলা তিনটার দিকে এক শিক্ষার্থী পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার আগে শিক্ষার্থীরা ভবনটিতে থাকা সবাইকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনেকে বের হলেও অনেকে সরেননি। পরে শিক্ষার্থীরা তালা মেরে দিলে ভবনের ভেতরে অর্ধশতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দিলে একে একে সবাই বের হন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম এবং রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ আতাউর রহমানের মুঠোফোনে কল করলে তাঁরা ধরেননি।