ট্রেনে কাটা পড়ে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

নরসিংদী রেলস্টেশনে তিতাস কমিউটার ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির বাঁ হাত ও বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নরসিংদী রেলস্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাত্রাবিরতির সময় ওই ব্যক্তি ট্রেনের মাঝামাঝি স্থানে দুটি বগির জয়েন্টের হুকে অবস্থান করে পরনের লুঙ্গি সামলাচ্ছিলেন। ওই সময় ট্রেনটি পুনরায় যাত্রা শুরু করলে তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেললাইনে পড়ে যান। স্টেশনে অবস্থানরত শত শত মানুষ ট্রেনে কাটা পড়ার এই দৃশ্য দেখেছেন।

আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

নিহত ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁর লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দিকে যাচ্ছিল। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ট্রেনটি নরসিংদী রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি দেয়। বিরতি শেষে ট্রেনটি পুনরায় যাত্রা শুরু করার মুহূর্তে দুই বগির জয়েন্টের হুক থেকে ওই ব্যক্তি রেললাইনে পড়ে যান। এ সময় তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে কয়েক সেকেন্ড ধরে দৌড়াতে দেখা যায়। একপর্যায়ে ট্রেনের চাকায় তাঁর লুঙ্গি আটকে গেলে বাঁ হাত ও বাঁ পা কাটা পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করে চলে গেলে প্রত্যক্ষদর্শী ও প্ল্যাটফর্মে অবস্থানরত শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হন। এ সময় তিনি কাতরাচ্ছিলেন। পরে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় তাঁকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়ার পথেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করলে তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়।

ট্রেনে কাটা পড়ে বাঁ হাত ও বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল
মাহমুদুল কবির, আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, নরসিংদী সদর হাসপাতাল

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, ‘ট্রেনে কাটা পড়ে বাঁ হাত ও বাঁ পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।’

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক কার্তিক চন্দ্র রায় বলেন, নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ দুর্ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরও পড়ুন