মধ্যনগরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা, আহত ৭

মারধর
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান (৬০) ও তাঁর কর্মীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাতজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়ার ভাতিজা আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়।

আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার দাতিয়াপাড়া গ্রামে সাইদুর রহমানের বাড়ির পুকুরপাড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন বলেন, গত বুধবার নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় ভোট হয়। আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া পেয়েছেন ১২ হাজার ৮৫৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সাইদুর রহমান পান ৯ হাজার ৯১৬ ভোট। দুজনের বাড়ি একই গ্রামে। আবদুর রাজ্জাক পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আবদুল বাতেনের বড় ভাই।

সাইদুর রহমান বলেন, তিনি আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাড়ির পুকুরপাড়ে কয়েকজন কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় আবদুর রাজ্জাকের ভাতিজা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদের নেতৃত্বে  অর্ধশতাধিক লোক দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। রামদার কোপে তিনি, তাঁর ছেলে আরিফুর রহমানসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁরা নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেছেন।

সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ওপর পরিকল্পিত হামলা হয়েছে। আমরা নির্বাচনের আগেও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছি।’

বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও সাইদুর রহমানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আমার ওপরও হামলা হতে পারে। আমি নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি।’

অভিযোগের বিষয়ে আজিম মাহমুদ বলেন, তাঁরা নন, সাইদুর রহমানের লোকজন আগে তাঁর ভাতিজা বাছেদ ভূঁইয়ার (২৯) ওপর হামলা করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, এই দুই পরিবারের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচনের পরও দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।