শরীয়তপুরে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বহিষ্কার
দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল শরীয়তপুর জেলা শাখার সহসভাপতি রেজাউল হাওলাদারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক কাজী আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মসজিদের জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ আছে।
স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা বলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার বাজারের শত বছরের প্রাচীন ঘড়িষার জামে মসজিদ। ওই মসজিদের জমিতে ভাড়া দেওয়া রয়েছে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট। যা থেকে প্রতি মাসে ভাড়া আদায় করে মসজিদের উন্নয়নকাজে ব্যয় করা হয়। অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে মসজিদের একটি খালি দোকানঘর ভেঙে রেজাউল করিমের নেতৃত্বে কয়েক ব্যক্তি ঘড়িষার ইউনিয়ন বিএনপির ক্লাব তৈরি করেন। ক্লাব নির্মাণের আগে মসজিদ পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘মসজিদের কিছু জমিতে স্থাপনা তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। সেখানে একটি ঘর দখল করে বিএনপির ক্লাব নির্মাণ করেছেন রেজাউল হাওলাদার। আমরা বাধা দিলেও তিনি তা আমলে নেননি। বিষয়টি স্থানীয়রা বিএনপি নেতাদের জানাই। এরপরই ওই স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
স্বেচ্ছাসেবক দলের শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান আমান বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল শরীয়তপুর জেলা শাখার সহসভাপতি রেজাউল হাওলাদারকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে এমন একটি বিজ্ঞপ্তি আমার হাতে এসে পৌঁছেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ঘড়িষার বাজারের প্রাচীন একটি মসজিদের জায়গা দখল করে ক্লাবঘর নির্মাণ করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কেন্দ্রীয় কমিটি যেহেতু বিষয়টি যৌক্তিক মনে করেছে, তাই কেন্দ্র তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাই আমাদের সিদ্ধান্ত।’
দল থেকে বহিষ্কার ও মসজিদের জমি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল হাওলাদার বলেন, ‘বহিষ্কারাদেশের কপি এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। আর আমার বিরুদ্ধে মসজিদের জায়গা দখল করার যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওইখানে মসজিদের বেশ কিছু দোকান রয়েছে। দোকানগুলো ভাড়া দেওয়া হয়। আমি ঠিক তেমনিভাবে একটি পুরোনো দোকান সংস্কার করে একটি ঘর নির্মাণ করছিলাম। আমি মসজিদের কয়েকজন উপদেষ্টাদের কাছে ওই ঘর নির্মাণের অনুমতিও নিয়েছি। এই বিষয়ে মসজিদ কমিটির সবাই জানে।’