প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব দূর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।
রোববার বেলা ১১টায় নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে জনসভা ও গণমিছিল কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজেকুজ্জামান রতন এসব কথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করার দাবি জানান।
বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় সভা হয়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক মাছুমা খানম, চা-শ্রমিক ফেডারেশনের রত্না বসাক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মামুন ব্যাপারী, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রুমন বিশ্বাস, সংগঠক মনজুর আহমদ, বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকে পাথেয় করে আগামী দিনের স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা নির্মাণ করতে হবে।
জনসভায় সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সিলেট জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বামপন্থী নেতা উজ্জ্বল রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিলেট জেলা সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা সঞ্জয় কান্ত দাশ প্রমুখ।
জনসভা শেষে গণমিছিল বের করা হয়। এটি নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শারদা হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে জনসভায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিল্পীরা গণসংগীত পরিবেশন করেন।
রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, দেশের জনগণ জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেড় হাজারের ওপর শহীদী আত্মদানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটালেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা নিরসন করা যায়নি। এ দেশের মানুষ শোষণমুক্ত একটি সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখলেও এখনো চরম পুঁজিবাদী শাসন-শোষণে শ্রমজীবী মানুষ বিপর্যস্ত, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দিতে হয়, এটা দুঃখজনক।