নালিতাবাড়ীর দুর্গম পাহাড়ি গ্রামের ১২০ জনকে কম্বল বিতরণ
দুর্গম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে গ্রামটিতে যাতায়াত করতে হয় বলে অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার খলচন্দা গ্রামের কোচ সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়—কোনো দুর্যোগেই তেমন সাহায্য-সহযোগিতা পান না তাঁরা। ভারতের মেঘালয়ের সীমান্তঘেঁষা এই জনপদে তাই কনকনে শীতে একটি কম্বল পেয়ে হাসি ফুটেছে তাঁদের অনেকের মুখে।
আজ রোববার সকালে প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারি সাধু সেন্টলিও স্কুল ও খলচন্দা গ্রামের কোচপাড়া কালীমন্দির মাঠে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়। আশপাশের মোট ৮টি গ্রামের ১২০ জন অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার নালিতাবাড়ী বন্ধুসভার সদস্যরা সীমান্তবর্তী পাহাড়ি পথ ঘুরে ঘুরে ধুপাকুড়া, পোড়াগাঁও, বুরুঙ্গা, বাতকুচি, আন্ধারুপাড়া, ডালুকোনা, খলচন্দা ও কোচপাড়া গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় শীতার্ত মানুষের তালিকা তৈরি করেন। আজকের অনুষ্ঠানে যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁদের বাড়িতে কম্বল পৌঁছে দেন বন্ধুসভার সদস্যরা।
খলচন্দা গ্রামের কম্বল পাওয়া ব্যক্তিদের একজন পরমেলা কোচ (৭০)। তাঁর স্বামী বাকেস মোহন কোচ ২০ বছর আগে মারা গেছেন। কৃষিকাজ ও পাহাড়ের লাকড়ি সংগ্রহ করে কোনোমতে দিন চলে তাঁর। তিনি বলেন, ‘আমরা তো মানুষের অনেকটা আড়ালে থাকি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ আমগর খোঁজ নেয় না। সীমান্তঘেঁষা গ্রাম হওয়ায় শীতে খুব কষ্টে ছিলাম। কম্বলটা পাইয়া বিরাট উপকার হলো। ঠান্ডায় রাইতে ঘুমাইবার পাইতাম না। অহন একটু আরামে ঘুমাবার পামু।’
কম্বল বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বন্দনা চাম্বুগং, কোচপাড়া গ্রামের প্রধান রমেশ চন্দ্র কোচ, প্রথম আলোর নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি আবদুল মান্নান, খলচন্দা গ্রামের শিক্ষক পরিমল কোচ, প্রথম আলো নালিতাবাড়ী বন্ধুসভার উপদেষ্টা সদস্য বিপ্লব দে, বন্ধুসভার সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সুজন চন্দ্র রায়, বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি ইয়াসমিন আক্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ সাহাসহ বন্ধুসভার সদস্যরা।
শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।
অথবা
বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩০৬৭৫৭৬—এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।