এক দশক পর সিলেটে ফিরলেন সাংবাদিক মুশফিকুল

সিলেটে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে (মাঝে) বিমানবন্দরে বরণ করে নেওয়া হয়। আজ শনিবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

এক দশক পর নিজ শহর সিলেটে ফিরলেন সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী। আজ শনিবার বেলা সোয়া একটার দিকে বিমানযোগে তিনি ঢাকা থেকে সিলেটে ফেরেন। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাঁকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করে নেন।

বিমানবন্দরে মুশফিকুল আনসারীকে বরণ করে নেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইকবাল আহমেদ ও অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য মো. সিদ্দিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কবি ও বাচিকশিল্পী সালেহ আহমদ খসরু, সাংবাদিক ও গল্পকার সেলিম আউয়াল প্রমুখ।

মুশফিকুলের স্বজনেরা বলেন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাস্ট নিউজ বিডির সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে দেশ ছাড়ার পর আর বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘ অপশাসন, দুঃশাসন, গুম, খুন, নির্যাতন ও প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। ওয়াশিংটনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন রাইট টু ফ্রিডমের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন তিনি। ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন।

বিমানবন্দরে রাজনীতিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় দীর্ঘকাল পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দেখে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এতে পুরো পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।

বিমানবন্দরে মুশফিকুল আনসারী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সিলেটে আমার জন্মভূমিতে আমি আসতে পেরেছি। আমি মহান আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। যাঁরা বিপ্লব সফল করতে, বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যাঁরা জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যাঁরা আহত অবস্থায় আছেন, তাঁদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

সাংবাদিক মুশফিকুল আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একটি সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যমুক্ত ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে সক্ষম হব সবার সম্মিলিত সহযোগিতায়। আমি যদিও কোনো পলিসি নির্ধারণে নেই; কিন্তু আমি মনে করি, আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব।’