কুষ্টিয়ায় শিক্ষককে মারধরের মামলায় ৬ আসামির আত্মসমর্পণ, কারাগারে ৩
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক স্কুলছাত্রীর জানাজায় গিয়ে মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদের করা মামলায় আদালতে ছয় আসামি আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। সোমবার আমলি আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানা তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে কারাগারে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ছয় আসামি। এর মধ্যে যে তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০), গাজীর উদ্দিন (৫৩) ও জাবেদ আলী (৪০)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার বিকেলে সুলতানপুর মাহতাবিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাদে ধূমপান করার অভিযোগ ওঠে ছয় ছাত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করা হয়, স্মার্টফোনে ধূমপানের দৃশ্য ধারণ করেন বিদ্যালয়টির দুজন শিক্ষক ও একজন আয়া। ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের মারধর করে ব্যাগ কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর টিসি (বদলির সনদ) ও অভিভাবকদের জানানোর ভয় দেখানো হয়। সেই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে এক ছাত্রী। আরেক ছাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার মারা যাওয়া ওই ছাত্রীর জানাজার পাশাপাশি একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন ছাত্রীর স্বজন ও এলাকাবাসী। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ সমবেদনা জানাতে গেলে তাঁকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসব ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া থানায় দুটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, আজ সকালে শিক্ষকের করা মামলার ছয়জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে তাঁরা আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট তাঁদের মধ্যে তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শিক্ষকের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। তিনি কোনো আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেননি। আদালতের বিষয় জানেন না।