সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত, প্রশ্ন দেখা দিয়েছে: চরমোনাই পীর

বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের সভায় সভাপতির বক্তব্য দেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনেছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘দেশের প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথি যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ কতটুকু সুরক্ষিত, জনগণের মনে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীলদের এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আর কখনো ঘটেছে বলে আমাদের জানা নেই। এমন ঘটনায় দেশের মানুষ আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন।’

চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় যে ভবনে, ওই সব ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পরিকল্পিত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। এ জন্য শুধু একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বসে থাকলে চলবে না। একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে দিয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারণ খুঁজে বের করে প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে।’ প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে দিয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের আমির আরও বলেন, ‘সচিবালয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের কর্মতৎপরতা, দায়িত্ব পালনের বিস্তারিত কিছু অনুসন্ধান করতে হবে। তাঁদের মধ্যে কেউ দায়িত্ব পালনে উদাসীন বা অবহেলা করে থাকলে তাঁদের আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সেতু মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের মধ্যে যাঁরা দুর্নীতি করে অবৈধ সম্পত্তি অর্জন করে আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন, তাঁদের কোনো সম্পৃক্ততা ঘটনার সঙ্গে থাকলে তাঁদের আইনের আওতায় এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’

এ সময় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানান সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। সভায় আলোচনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, প্রেসিডিয়াম সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জ্যেষ্ঠ সহ-যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের প্রমুখ।