কুষ্টিয়া থেকে খুলনাগামী বাস থেমে যাচ্ছে যশোরে, যাত্রীদের ভোগান্তি
বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী বাস যশোর পর্যন্ত চলাচল করছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীরা কুষ্টিয়া থেকে সরাসরি খুলনা যেতে পারছেন না। এ কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিষয়টি স্বীকার করলেও কেন কুষ্টিয়ার বাস যশোর পর্যন্ত যাচ্ছে, এর সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ বলছেন না। তবে বিএনপি নেতারা বলছেন, আগামীকাল শনিবার খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে কুষ্টিয়া-খুলনা বাস চলছে না।
প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর বাস ডিপো থেকে খুলনার উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। প্রতি ১০ মিনিট অন্তর এসব বাস চলে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় গিয়ে দেখা যায়, গড়াই পরিবহন খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। এ সময় টিকিট কাউন্টারে থাকা রাহিনুল ইসলাম যাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যাঁরা খুলনা যাবেন, তারা যশোর পর্যন্ত টিকিট নেবেন। খুলনায় কোনো বাস যাবে না। যশোর থেকে যাবেন। তারপর কীভাবে খুলনা যাবেন, সেটা নিজ দায়িত্বে যাবেন।’
এ সময় এক যাত্রী যশোর পর্যন্ত টিকিট কাটার সময় কিছু টাকা কম দিতে গেলে রাহিদুল বলেন, ‘আজ হরতাল, কোনো কম নেওয়া হবে না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যাত্রী বলেন, সকালে খুলনা যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। বাসে ওঠার সময় জানতে পারছেন খুলনায় যাবে না। এখন ফিরেও যেতে পারছেন না। জানেন না কপালে কী দুর্ভোগ আছে। যশোরে গিয়ে বিপদে পড়বেন কি না, তিনি সেই চিন্তা করছেন।
এদিকে গণসমাবেশে অংশ নিতে কুষ্টিয়ার বিএনপি নেতা-কর্মীরা খুলনা পথে রওনা দিয়েছেন। নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কেউ-ই সরাসরি মহাসড়ক দিয়ে বাসযোগে খুলনা যাচ্ছেন না। গ্রামীণ ‘পকেট সড়ক’ ধরে মোটরসাইকেল, অটোরিকশাযোগে তাঁরা খুলনা যাচ্ছেন। জেলার ৬০ ভাগ নেতা-কর্মী রাতে ও সকালে ট্রেনযোগে খুলনা পৌঁছে গেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
একদিকে বাধা হলে আরও দশ পথ খুঁজে করে নেতা-কর্মীরা সমাবেশে যাবেন বলেন জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো বাধাই সমাবেশে যেতে বাধা হবে না। যেকোনো উপায়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ স্থলে হাজির হবেই।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন বলেন, ‘বিভিন্ন সড়ক দিয়ে খুলনায় ইতিমধ্যে ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী চলে গেছেন। তাঁরা কয়েকজন দুপুরে রওনা দেবেন। তবে কোন পথে যাবেন, সেটি তিনি বলতে চাননি।’