সিলেটে বন্যার পানি ঠেকাতে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি সাবেক মেয়র আরিফুলের
বন্যার পানি ঠেকাতে সুরমা নদীর চারপাশে শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি জানালেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরের বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
সাবেক মেয়র বলেন, ‘একটা মানুষ এ প্রশ্ন তোলে না, পানি উন্নয়ন বোর্ড এত বছরেও কেন শহর রক্ষা বাঁধ করেনি? সিলেটে ১৫ বছরেও ইফেকটিভ কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। বন্যা, ভূমিকম্প হলে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা ভিজিট করতে আসেন, পরে সার্কিট হাউস থেকে চলে যান। অথচ আজ পর্যন্ত কেন শহর রক্ষা বাঁধ হয়নি। অথচ দিনের পর দিন আমি এ দাবি সংশ্লিষ্টদের কাছে করেছি।’
আরিফুল হক চৌধুরী সকাল ৯টা থেকে নগরের বন্যাকবলিত চালিবন্দর, যতরপুর, কালীঘাট, ছড়ারপাড়, ঘাসিটুলা ও কানিশাইলসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। বেলা ২টার পর তিনি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বন্যাকবলিত গ্রাম পরিদর্শনে যান। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তিনি মাছিমপুর এলাকা পরিদর্শনকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ও সিলেটের উন্নয়ন নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেন।
সাবেক মেয়র বলেন, ‘সিলেটের উন্নয়নে সরকার বিমাতাসুলভ আচরণ করছে। সিলেটের মানুষের জেগে ওঠা প্রয়োজন। ন্যায়সংগত কথা প্রত্যেককে বলতে হবে। বারবার পানি আসবে, আমরা কথা বলব, আর সরকারের কর্তাব্যক্তিরা নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকবেন, তা হবে না। সিলেট বাঁচাতে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে।’
সাবেক মেয়র তাঁর সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসনে বরাদ্দকৃত টাকা যথাযথভাবে খরচ হয়েছে দাবি করে বলেন, ‘অনেকেই আমার সময়ে বরাদ্দ হওয়া ১ হাজার ২২৮ কোটি টাকার কাজ নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা করছেন। বলছেন, হাজার কোটি টাকা খরচেও জলাবদ্ধতা নিরসন হয়নি। অথচ এ প্রকল্প শুধু জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ছিল না, এটা জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছিল। এ কাজ হওয়ার কারণেই নগরে জলাবদ্ধতা অনেকটা কমেছে। হাওয়াপাড়া, পাঠানটুলা, শিবগঞ্জসহ অনেক স্থানের জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছে।’
আরিফুল হক চৌধুরী আরও বলেন, ‘ঢালাওভাবে সিটি করপোরেশনকে দোষারোপ করা হয়। সিটি করপোরেশনের একার কোনো বিষয় না। সরকারের সব বিভাগকেই সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। আমি সিটি করপোরেশনের কাজের বাইরে গিয়েও জনস্বার্থে কাজ করেছি। লোকদেখানো কাজ করলে সমাধান হবে না, কার্যকর কাজ করতে হবে।’
সাবেক মেয়র সিলেটের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে বড় কোনো ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, সিলেটের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভালো নয়। অন্যান্য জায়গার হাইওয়ে দেখেন, আর সিলেটের দেখেন। ফারাক বুঝতে পারবেন। সিলেট বিমানবন্দর থেকে বাদাঘাট পর্যন্ত সড়কের জমি অধিগ্রহণ ১৫ বছরেও হয়নি।