বরিশালে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, দুই সাবেক মেয়রসহ মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ১ হাজার ৮১ জনের নামে মামলা হয়েছে। বরিশাল মহানগর বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার অভিযোগে আজ শুক্রবার দুপুরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগটি পাওয়ার পর তা এজাহার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
বরিশাল মহানগর বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট দুপুরে নগরের সদর রোডের বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেওয়ায় ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই দিন বেলা একটার দিকে সদর রোডে দলের কার্যালয়ের সামনে এসে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে আগুন দেন। এ সময় কার্যালয়ের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলেও আগুন দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় নগর বিএনপির আহ্বায়ক বাদী হয়ে ঘটনার ১৯ দিন পর এই মামলা করেছেন।
নগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতিতে ছিলেন। এরপর সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে আনাসহ নানা কারণে ব্যস্ততার জন্য এত দিন এই মামলা করা সম্ভব হয়নি। এসব কারণে মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়, মামলায় বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, সদ্য সাবেক সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সদ্য সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম জাহাঙ্গীরকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ-সমর্থিত অন্তত ১৫ জন কাউন্সিলর ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী, সমর্থকসহ মোট ৩৮১ জনের নাম এজাহারে লেখা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও ৬০০ থেকে ৭০০ জন আসামি আছেন।