নকল করায় দুই দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার, পাঁচ শিক্ষককে অব্যাহতি
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘিলাতলী মাদ্রাসাকেন্দ্রে আজ বুধবার দাখিল পরীক্ষার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নকল করতে সহযোগিতার দায়ে ওই কেন্দ্রের ২ ও ৩ নম্বর কক্ষের পাঁচ শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ইউএনওর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষাকেন্দ্রের ২ ও ৩ নম্বর কক্ষে একাধিক পরীক্ষার্থী আজ বেলা ১১টায় হাদিস বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে নকল করছিল। সেখানে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকেরা বিষয়টি আমলে নেননি, বরং শিক্ষার্থীদের নকল করতে সহযোগিতা করেন। এ সময় ইউএনও ফাতিমা সুলতানা ওই দুই কক্ষে গিয়ে দেখতে পান, দুই পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করছে এবং সেখানকার কক্ষ পরিদর্শকেরা তাদের সহযোগিতা করছেন। পরে ইউএনও ওই দুই কক্ষ থেকে পাঁচ পরিদর্শককে (শিক্ষক) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। দুই পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন।
সূত্রটি আরও জানায়, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীদের একজন উপজেলার ঘিলাতলী সামাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার, অপরজন কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার। পরীক্ষাকেন্দ্রটির ২ নম্বর কক্ষ থেকে অব্যাহতি পাওয়া পরিদর্শক হলেন উপাদী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. আবুল হোসেন ও লামচরী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমলেন্দ্র গোলদার। ৩ নম্বর কক্ষ থেকে অব্যাহতি পাওয়া পরিদর্শক হলেন দিঘলদী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. শফিকুর রহমান, লামচরী উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সালেহ আহম্মেদ ও ধনারপাড় দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল মিয়া।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম পাটোয়ারী বলেন, পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়া ওই পাঁচ সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। ইউএনও ফাতিমা সুলতানা বলেন, এসব শিক্ষক তাঁদের কক্ষে পরীক্ষার্থীদের নকলে সহযোগিতা করেন। দায়িত্ব পালনেও অবহেলা করেন। এ কারণে তাঁদের এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাকি পরীক্ষাগুলোতে তাঁরা কেন্দ্রে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।