রাউজানে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাউজানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে যুবদলের নেতা মুহাম্মদ ফরিদ (৪৯) গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশি হেফাজতে এখন তাঁর চিকিৎসা চলছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ রাউজান উপজেলার পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন যুবদলের নেতা। ২০১৭ সালে খুন হওয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম হত্যার তালিকাভুক্ত আসামি তিনি।
আজ রোববার সকালে গুলিবিদ্ধ ফরিদকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন আকবর।
ওয়ালি উদ্দিন আকবর প্রথম আলোকে বলেন, গত শনিবার রাতে রাউজানের নোয়াপাড়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে যুবদলের নেতা ফরিদ হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে হত্যার অভিযোগে হত্যার মামলা রয়েছে। ওসি বলেন, চিকিৎসা শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।
নুরুল আলম হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরের বাসা থেকে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাতে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলমকে। এর পরদিন চোখ, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয় তাঁর গ্রামের বাড়ি রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাদারপাড়া থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের একই উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে। এ ঘটনার সাত বছর পর গত সোমবার রাতে নুরুল আলমের স্ত্রী সুমি আকতার নগরের চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রাউজানের নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মুহামদ জাবেদ (৩৫), নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া (৫২)। এ ছাড়া এ হত্যা মামলায় গত শনিবার রাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদলের নেতা মুহাম্মদ ফরিদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।