উদ্ধারের পর আট মুখপোড়া হনুমান কোয়ারেন্টিনে, চলবে চিকিৎসাও
রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে উদ্ধার করা আটটি মুখপোড়া হনুমানকে কোয়ারিন্টিনের জন্য গাজীপুর সাফারি পার্কে আনা হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত এ পার্কে প্রাণীগুলোর চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম। এর আগে গত বুধবার বিকেলে বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের নির্দেশে প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্কে আনা হয়।
বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকার বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় মুখপোড়া হনুমানগুলো উদ্ধার করে আইনগত কার্যক্রম শেষে সেগুলো সাফারি পার্কে পাঠানো হয়।
বন বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে হনুমানগুলো কুষ্টিয়ায় পাচার করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে গতকাল ভোরে ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী কাজলা ব্রিজ–সংলগ্ন এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রাণী পাচারকারীকে আটক করা হয়। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম (৪০) ও রবিউল ইসলাম (৩০)। এরপর তাঁদের কাছ থেকে আটটি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখানে বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানার প্রসিকিউশনের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুজনের প্রত্যেককেই ২১ দিন করে কারাদণ্ড ও মোট ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাণীগুলোকে সাফারি পার্কের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এ সময়ে প্রাণীগুলোকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।