নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মী মো. হুমায়ুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমকে (৪০) অস্ত্র, গুলিসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা ইউনিয়নের আসমান্দীরচর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে মাধবদী থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।

গ্রেপ্তার শাহ আলম নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীর আমদিয়া ইউনিয়নের ধুন্দলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যাসহ ১৪টি মামলা আছে।

নরসিংদী সেনা ক্যাম্প এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গতকাল রাত ৮টার দিকে শাহ আলম আসমান্দীরচর গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। স্থানীয় লোকজনকে ভয় দেখাতে তিনি কয়েকটি গুলি ছোড়েন। এতে আতঙ্কিত হয়ে লোকজন সেনাবাহিনীকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পরে সেনাবাহিনীর দুটি বিশেষ টহল দল গিয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে। সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম আবার ৪ থেকে ৫টি গুলি ছোড়েন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শাহ আলম অস্ত্রসহ সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পরে শাহ আলমকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল ও একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয়েছে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা ৯টি গুলির খোসা।

নরসিংদী সেনা ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হুমায়ুন রশীদ বলেন, গতকাল রাতেই শাহ আলমকে মাধবদী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনী শাহ আলমকে হস্তান্তরের পর তাঁকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। পরে তাঁকে আগের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র আইন মামলা দেওয়া হচ্ছে।

গত ২২ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে পাঁচদোনায় ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে ছাত্রদল কর্মী মো. হুমায়ুনকে (২৭) হত্যার ঘটনা ঘটে। তিনি নরসিংদী সদরের মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরাহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাঁর সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম।