জুড়ীতে স্থলবন্দর স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুটি স্থান পরিদর্শন, মতবিনিময়
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় স্থলবন্দর স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা গতকাল বৃহস্পতিবার দুটি স্থান পরিদর্শন করেছেন। পরে এ বিষয়ে তাঁরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। উপজেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (প্রশাসন) ডি এম আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল স্থলবন্দর স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গতকাল জুড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী ফুলতলা ইউনিয়নের বটুলি শুল্ক স্টেশন ও অভিবাসন তদন্ত কেন্দ্র এবং গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের লাঠিটিলা সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে। এ সময় সিলেটের বিভাগীয় আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আবুল কালামের নেতৃত্বে তাঁদের সংগঠনের কয়েকজন সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বটুলি শুল্ক স্টেশন ও অভিবাসন তদন্ত কেন্দ্রের বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর ত্রিপুরা ও লাঠিটিলা সীমান্তের বিপরীতে আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলা।
পরে বিকেল চারটার দিকে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডি এম আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক মিয়া, জুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবীর, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলীম, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাছুম রেজা, গোয়ালবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম, পূর্ব জুড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম, কামিনীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আম্বিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০১ সালে স্থাপিত বটুলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে। ২০০৩ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে এ অভিবাসন কেন্দ্র দিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দেয়। তবে ভারতীয় নাগরিকেরা নানা কাজে ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন। এতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বটুলিতে স্থলবন্দর হলে ব্যবসার প্রসার ঘটবে। মানুষের কর্মসংস্থান হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
ডি এম আতিকুর রহমান বলেন, দুটি স্থানের মধ্যে বটুলি শুল্ক স্টেশনে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর করার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আর্থিক সক্ষমতা থাকলেও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের একার পক্ষে বন্দর স্থাপন করা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারের আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও জড়িত। এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।