বগুড়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে যুবক কারাগারে
বগুড়ার নন্দীগ্রামে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে ফয়সাল করিম ওরফে রেজা (৩৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে অভিযুক্ত যুবককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্ত ফয়সাল করিম হাটকড়ই এলাকার বাসিন্দা। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রামধনি বাড়ী কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তাঁর চাকরি গেছে বলে দাবি করেছেন বাবা খোরশেদ আলম।
এর আগে সোমবার শেষ রাতের দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলার হাটকড়ই মহাশ্মশান কালীমন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফয়সাল করিম হাটকড়ই মহাশ্মশান কালীমন্দিরের ফটকে ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে শেষ রাতের দিকে মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করেন। সকালের দিকে মন্দিরের সেবায়েত প্রতিমা ভাঙচুরের দৃশ্য দেখে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে নন্দীগ্রাম থানা-পুলিশ জড়িত ব্যক্তিকে শনাক্তে মাঠে নামেন। স্থানীয় দুই ব্যক্তি ফয়সাল করিমকে মন্দির এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে খবর দেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফয়সাল করিমকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার পর মন্দির পরিদর্শনের পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন বগুড়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলার সময় ওই যুবকের বাবা খোরশেদ আলমও এসেছিলেন। খোরশেদ আলমের ভাষ্য অনুযায়ী, মানসিক সমস্যার কারণে তাঁর ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, অভিযুক্ত ফয়সাল করিমকে নন্দীগ্রাম থানার ওসি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তখন ফয়সালকে স্বাভাবিক মনে হয়েছে এবং প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি আজমগীর হোসাইন বলেন, এ ঘটনায় মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সুমন চন্দ্র পাল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।