‘রাজশাহীতে নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবন বহিষ্কার’
রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
আজ রোববার দুপুরে নগরের মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে গত শুক্রবার পুঠিয়ায় জেলা ও মহানগর বিএনপির জনসভা থেকে ফেরার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘সিলেটের বর্তমান মেয়রকে সভা করতে দেবেন না। তিনি নির্বাচনসংক্রান্ত একটি নাগরিক সভার আয়োজন করেছিলেন। পরে সেখানে হাজার হাজার মানুষ জমা হন। তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। সেখানে বিএনপির কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরাও নির্বাচন করবেন না। রাজশাহীতে বিএনপির কোনো নেতা, দলের সমর্থিত ব্যক্তি যদি সিটি নির্বাচনে ভোট করেন, তাঁদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। জনগণের সামনে তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে। আমি আশা করছি, বিএনপির কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। অনেকেই না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এখানে একটা প্রহসনের নির্বাচন হবে। অতীতের মতো ভোট ডাকাতি হবে।
যাঁরা নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরা ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে পরিচিতি পাবেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে যে দু-একজন নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁরা বিশ্বাসঘাতক, জাতীয় বেইমান, মীর জাফর হিসেবে রাজশাহীবাসী ও দলের কাছে চিহ্নিত থাকবেন। বর্তমানে এই সরকারের অধীনে কেউ নির্বাচনে অংশ নেবেন না। ৪২টি নিবন্ধিত দলও নেবে না। আমরা আগে দেশকে হাসিনামুক্ত করতে চাই। পরে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন।’
পুঠিয়ার জনসমাবেশ থেকে ফেরার পথে গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯ মে পুঠিয়া উপজেলার শিবপুরের জনসভা শেষ করে বাড়িতে ফেরার পথে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এভাবে বিনা কারণে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ, নগর বিএনপির সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির গোলাম মোস্তফা মামুন প্রমুখ।