ফরিদপুরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করল বিএনপি
ফরিদপুরে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। আজ রোববার বিকেল চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আলাদা আলাদাভাবে শোভাযাত্রাগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
ফরিদপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির ব্যানারে বিকেল পাঁচটার দিকে শহরের ব্রাহ্ম সমাজ সড়ক থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের মোড় থেকে শুরু হয়ে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শুরুর আগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ এম এম কাইউমের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ওরফে মাশুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ওরফে ইছা।
ফরিদপুর মহানগর বিএনপির নামে আরেকটি মিছিল বের করা হয় কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফের নেতৃত্বে। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। মিছিলটি কামাল ইবনে ইউসুফের শহরের কমলাপুরের বাসা থেকে শুরু হয়। মিছিলটি মুজিব সড়ক ধরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে দিয়ে জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে ইমাম উদ্দীন চত্বর ঘুরে শহরের ঝিলটুলী মহল্লায় অবস্থিত কাঠপট্টি এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান ও জুলফিকার হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল শহরের গোপালপুর এলাকার ‘কি পাইলামের মোড়’ থেকে শুরু হয়। মিছিলের শুরুতে নেতৃত্ব দেন আফজাল হোসেন। মিছিলটি মুজিব সড়ক ধরে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের সামনে দিয়ে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় পৌঁছালে নিজের সমর্থকদের নিয়ে মিছিলে যোগ দেন জুলফিকার হোসেন। মিছিলটি আলীপুর গোলপুকুর ড্রিম এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে আফজালের সভাপতিত্বে ও জুলফিকারের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমীনুর রহমান, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, নায়াব ইউসুফ ও আফজাল-জুলফিকারের নেতৃত্বে দুটি মিছিল যখন জেনারেল হাসপাতালের মোড় অতিক্রম করে তখন ওই মোড়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাটি চলছিল। কিন্তু কোনো মিছিল ওই জায়গায় দাঁড়ায়নি বা কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেনি।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কিছু নেতা ব্যক্তিস্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য জেলা বিএনপির ব্যানার অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করায় হঠাৎ করে মিছিলগুলো খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়।
আলাদা আলাদা মিছিল হয়েছে মানতে নারাজ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া। তিনি বলেন, আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলে যোগ দিতে অনেক নেতা-কর্মী সমবেত হয়েছিলেন। এ জন্য মিছিলগুলো আলাদা আলাদা হয়ে যায়।