‘শুধু বিএনপি করায় আমাকে আয়নাঘরে রেখে ১৭ বার ক্রসফায়ারের জন্য নিয়ে গিয়েছিল’

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় জলবায়ু সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিজের জন্মভিটা জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের গণিপুর গ্রামে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেনছবি: সংগৃহীত

কৃষক দলের কেন্দ্রীয় জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম দাবি করেছেন, ‘স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আমলে শুধু বিএনপি করার অপরাধে ১২ দিন আমাকে আয়নাঘরে রেখে ১৭ বার ক্রসফায়ারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই ১২ দিন আমাকে ১২ লিটার পানিও দেওয়া হয়নি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আমি আয়নাঘর থেকে ফিরেছি।’

আজ শুক্রবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গণিপুর গ্রামে নিজের জন্মভিটায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সিরাজুল ইসলামের উদ্যোগে এ মতবিনিময় সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা ও আক্কেলপুর উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা এতে অংশ নেন।

লায়ন সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কতগুলো মামলা, তা নিজেও জানতাম না। এখন জানি। অনেকগুলো মামলা শেষ হয়েছে। এখন ৪৫-৪৬টি মামলা আছে। সেগুলো শেষ হয়ে যাবে। আমি বাংলাদেশের নম্বর ওয়ান ফার্টিলাইজার ইমপোর্টার ছিলাম। চট্টগ্রাম, যশোরের নওয়াপাড়া, নারায়ণগঞ্জ ও ভৈরবে আমার আফিস ছিল। সেই ব্যবসা থেকে আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, আমার মেয়েকে স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে অপহৃত মেয়েকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে পেয়েছিলাম। আমার অপরাধ, বিএনপি করা।’

সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছিলাম। ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে বুকে বেল্ট বাঁধা অবস্থায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর পল্টনে তিনটি গুলি খেয়েছি। সেই গুলি খাওয়া অবস্থায় জয়পুরহাট এসে আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি। জয়পুরহাটে একটার পর একটা মামলা হয়। আমি জয়পুরহাটে না থাকলেও আমার বিরুদ্ধে অটো মামলা হয়। সৈয়দপুরে আমার বাসা। আমি সৈয়দপুরের কোনো নেতা নই। তারপরও বিগত ১২ বছর সৈয়দপুরে নিজের বাসায় ঘুমাতে পারিনি। আমি বিএনপির নির্যাতিত একজন সৈনিক। বিগত দিন যেভাবে আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামী দিনেও আপনাদের পাশে থাকতে চাই।’