জন–অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের রাজনীতির লক্ষ্য: নুরুল হক

পটুয়াখালী শহরে গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে প্রাঙ্গণে আজ রোববার বক্তব্য দেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকছবি: প্রথম আলো

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ‘আমরা বলি রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। জনগণের ভ্যাট–ট্যাক্সের টাকায় রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেটা এসপি সাহেব হোক, ডিসি সাহেব হোক কিংবা ইউএনও সাহেব হোক, সব সাহেবের বেতন হয় এই জনগণের ভ্যাট–ট্যাক্সের টাকায়। কাজেই এই প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা যেন জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে এবং জনগণ যেন মনে করে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তার যে অধিকার আছে, নাগরিক হিসেবে সেটা যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত। জনগণের এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই গণ অধিকার পরিষদের রাজনীতির লক্ষ্য।’

রোববার বিকেলে পটুয়াখালীর নতুনবাজারে গণ অধিকার পরিষদ কার্যালয় প্রাঙ্গণে ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন–আকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুল হক এ কথা বলেন। গণ অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখা এ সভার আয়োজন করে।

ওই আলোচনা সভায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে গেলে জনগণকে যথাযথ সেবা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নুরুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে গেলে জনগণ যেন সম্মান পায়, সেবা পায়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এ কারণেই আমরা বলছি, আমাদের অঙ্গীকার দেশ হবে জনতার।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটু। এ ছাড়া ওই সভায় গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, ২০১৮ সালে এই কোটা সংস্কার আন্দোলন আমরা শুরু করেছিলাম। সেই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জনগণের পক্ষে আমাদের অবস্থান নেওয়া শুরু। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই অভ্যুত্থান কোনো রাজনৈতিক দলের ডাকে হয়নি, কোনো রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে হয়নি। ছাত্র আন্দোলনের মাধমে এই গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।’

আরও পড়ুন

গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘ছাত্ররা কেন গণ–অভ্যুত্থানে এসেছিল, কেন আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল। কারণ তারা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার চেয়ে মেধার মূল্যায়ন চেয়েছিল। ২০১৮ সালেও এই আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের মুখেও আট মাস আন্দোলন করেছিলাম। তারপর ১৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ২০২৪ সালে সরকার যখন আদালতকে ব্যবহার করে, সেই কোটা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল, তখনই ছাত্রসমাজ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেছিল। যার ফলেই আজকের এই গণ–অভ্যুত্থান।’