খুলনা জেলা পরিষদে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের অভিযোগ, থানায় জিডি

অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান সাংবাদিক রাশেদ নিজামকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ করেন তিনিছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

খুলনা জেলা পরিষদে সোমবার দুপুরে যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজামকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাশেদের অভিযোগ, জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। জেলা পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে তাঁর ওপর চড়াও হন ওই কর্মকর্তা।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রাশেদ নিজাম খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। একই সঙ্গে খুলনা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।

রাশেদ নিজাম বলেন, খুলনার চুকনগরে জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ছিল। সেই ডাকবাংলো ভেঙে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নামে ওই জায়গা একসনা বন্দোবস্ত দিয়ে স্থায়ী পাকা মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে দোকান বরাদ্দ নিয়ে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে, যার সঙ্গে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান জড়িত রয়েছেন বলে তাঁদের কাছে তথ্য আছে। ওই বিষয়ে কথা বলতে জেলা পরিষদে গেলে মাহবুবুর রহমান তাঁকে লাঞ্ছিত করেন।

তবে ওই ঘটনা অস্বীকার করেছেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, তিনি সাংবাদিককে মারধর করেননি। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে তাঁদের বেরিয়ে যেতে বলেছেন।

ঘটনার সময় খুলনা জেলা পরিষদে ছিলেন না চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। এ কারণে রাশেদ নিজাম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজা রশীদের কাছে আবেদনটি জমা দেন। রেজা রশীদ বলেন, ‘যমুনা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ নিজাম জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে কিছু তথ্য সংগ্রহের জন্য এসেছিলেন। সেখানে তিনি রাশেদ নিজামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আমি অভিযোগটি গ্রহণ করেছি। আমরা এখন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব। এটা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর উপস্থাপন করা হবে। বিষয়টি আমরা দেখব।’