সাঈদীর মৃত্যুতে শোক, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের ৯ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার
সদ্য প্রয়াত মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেওয়ায় ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের দুই সহসভাপতিসহ ৯ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ এক জরুরি সভায় আজ বুধবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফাহিম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।
পাশাপাশি তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বরাবর সুপারিশ করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি খালেদ সাইফুল্লাহ ওরফে সৌরভ ও তাপস মল্লিক, জেলা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক জুবায়ের হোসেন ওরফে অর্পি, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহ, মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল কাজী, নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির সদস্য রিফাত আলিম এবং ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের কর্মী মোস্তাফিজুর হাসান, কাওসার তালুকদার ও রাজীব হোসেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।’
বহিষ্কারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু সাজাপ্রাপ্ত সদ্য প্রয়াত দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় ওই নয়জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
যাঁদের কোনো দলীয় পোস্ট নেই, তাঁদের এভাবে ঘোষণা দিয়ে বহিষ্কার করা যায় কি না—এমন একটি প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ‘কেন্দ্র থেকেও কর্মীদের এভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা সেই পথ অনুসরণ করেছি মাত্র।’