জামালপুরে রেললাইন অবরোধ কোটা আন্দোলনকারীদের, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

ট্রেন অবরোধ করে রেখেছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। আজ বুধবার দুপুরে জামালপুর শহরের শেখের ভিটা এলাকায়ছবি: প্রথম আলো

সরকারি চাকরির সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি এবং বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক ও ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন জামালপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

সকাল ১০টার দিকে শহরের মির্জা আজম চত্বর এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারীরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে আন্দোলনকারীরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। পরে ওই এলাকায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। সেখানে তাঁরা ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। সেখান থেকে ওই সব আন্দোলনকারী শহরের শেখের ভিটা এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেন। এ সময় ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী বেসরকারি কমিউটার ট্রেনটি আটকা পড়ে। ওই এলাকায় ট্রেনটি প্রায় ২০ মিনিট আটকে ছিল। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আন্দোলনকারীদের লাইন থেকে সরিয়ে দেন।

শেখের ভিটা এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা একটি মিছিল নিয়ে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ প্রাঙ্গণে ঢোকে। এ সময় আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দেন। এ সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। আর প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি ন্যায্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। সেখানে ন্যক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়েছে। হামলা করে আমাদের আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের ভাইবোনদের রক্ত বৃথা যেতে দিয়ো না। এই আন্দোলন চলবে।’

জামালপুর রেলওয়ের স্টেশনমাস্টার শেখ উজ্জ্বল মাহামুদ প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলনকারীরা শেখের ভিটা এলাকায় বেসরকারি কমিউটার ট্রেনটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট আটকে রেখেছিলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। পরে ট্রেনটি গন্তব্যে চলে গেছে।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে রয়েছে। তবে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা না হয়। শুরুর দিকে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে। এখন ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে।’

আরও পড়ুন