গাজীপুরে পুলিশের গাড়ি থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন যুবদল নেতা

মো. রাজু আহমেদছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে যুবলীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার বিকেলে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায়।

ওই যুবলীগ নেতার নাম মো. রাজু আহমেদ। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি। আর যুবদল নেতা হলেন মামুন শিকদার। তিনি সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি মামলার আসামি রাজু। তাঁর অবস্থান জানতে পেরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাহার উদ্দিন গতকাল অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের গাড়িতে ওঠানো হয়। এ সময় মামুন শিকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন তাঁকে পুলিশের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে ছিনিয়ে নিয়ে যান। তবে ওই দিন রাতেই যুবলীগের নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর মামুন শিকদারকে ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম ও সচিব রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে জানানো হয়, মামুন শিকদারকে সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন যুবদল শাখায় লিখিত জবাব দিতে হবে।
নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যথাযথ জবাব প্রদান না করলে ভবিষ্যতে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে মো. রাজু আহমেদ ও মামুন শিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে এ বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

শরিফুল ইসলাম বলেন, মামুন শিকদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি দলের গঠনতন্ত্রের বিরোধী কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের দল কাজ করছে। যুবদল নেতা মামুন ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে আছেন।