কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজলসহ দলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোর ও সকালে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে যৌথ বাহিনী।
গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন তাড়াইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন (লাকি)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টার দিকে জেলা শহরের বাসা থেকে এম এ আফজলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর নামে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শ্যামল মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজলকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
অন্যদিকে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল জানান, কিশোরগঞ্জ সদর থানার একটি মামলায় আজ ভোরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হককে ধলা ইউনিয়নের কলমা গ্রাম থেকে এবং সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিনকে তাড়াইল-সাচাইল ইউনিয়নের কালনা গ্রাম থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার খড়মপট্টি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা হয়। ওই ঘটনায় ৩০ আগস্ট মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৪ আগস্ট বেলা ২টা থেকে বিকেল ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর থানার খড়মপট্টি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজলসহ অন্য আসামিরা দা, রামদা, কিরিচ, বল্লম, রড, হকিস্টিক, পেট্রোলবোমা, ককটেল, পাইপগান, পিস্তল প্রভৃতি অস্ত্র নিয়ে ছাত্র–জনতার মিছিলে হামলা করেন। বাদী (মশিউর রহমান) জীবন রক্ষার্থে দৌড়ে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেন। আসামিরা ধাওয়া করে ওই বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। বাদীসহ অন্যরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। ওই বাড়িতে থাকা দুজন আগুনে পুড়ে মারা যান।