খুলনায় জেল সুপার, জেলারের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার হত্যাচেষ্টার মামলা

খুলনা জেলা কারাগারফাইল ছবি

খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার রফিকুল ইসলাম কাদের, সদ্য বিদায়ী জেলার এ জি মাহমুদ ও ফার্মাসিস্ট আতাউর রহমান পারভেজের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এস এম মনিরুল হাসান (বাপ্পী) বাদী হয়ে মামলাটি করেন। খুলনার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন তিনি।

বাদীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা, মানহানিসহ ছয়টি ধারায় মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারক মো. আনিচুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপুলিশ কমিশনারকে (ডিসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন আদালত।

মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, বাদী মনিরুল হাসানের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর রূপসা থানায় নাশকতার অভিযোগে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন তিনি। এরপর গত ২৪ এপ্রিল তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ৩ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জেলের চিকিৎসক ইসিজি করে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে জানান। তিনি জেল সুপার, জেলার ও চিকিৎসককে বাইরে কোনো হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাঁরা বাইরে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে থাকেন। এ ছাড়া তাঁরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেন।

উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ৬ মে মনিরুল হাসান কারাগার থেকে বের হয়ে পরদিন খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানকার চিকিৎসক জানান, সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় তাঁর শারীরিক অবস্থা জটিল। তাঁকে ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে ২১ মে তিনি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারি করান। বাদী মনে করেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হতো না। বাদী জানান, তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার চেষ্টা করায় এই মামলা দায়ের করেছেন।