ডিমের খালি খাঁচি নিয়েই রাজশাহী ছাড়ে ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ ট্রেন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে কম খরচে কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য চালু করা বিশেষ ট্রেনটিতে প্রথম পাঁচটি স্টেশনে কোনো কৃষিপণ্যই ওঠেনি। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে শুধু ১৫০ কেজি ডিমের খালি খাঁচি তোলা হয়। কৃষকেরা বলছেন, বিশেষ এই ট্রেনের খবর তাঁরা জানেন না। আর ট্রেনে সরাসরি কৃষকের কৃষিপণ্য নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার সম্ভাবনাও কম।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল’ নামে ট্রেনটি চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মালামাল স্বল্পমূল্যে পরিবহন করা যাবে। এই স্পেশাল ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানের ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে মাছ, মাংসসহ পচনশীল পণ্যও পরিবহন করা যাবে।
ট্রেনটি মঙ্গলবার খুলনা থেকে ঢাকা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় থেকে ঢাকা এবং শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে। গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো এই ট্রেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে যাত্রা করে। ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসে। রাজশাহী ছাড়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছায় বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে। এই ট্রেনে রহনপুর থেকে প্রতি কেজি কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। তবে সাড়া মেলেনি প্রথম দিন।
রেল বিভাগ জানিয়েছে, রহনপুরের শুরুর স্টেশন থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ৫টি স্টেশনে সবজি নেওয়ার জন্য ট্রেনটি থামলেও কোনো কৃষিপণ্য তোলা হয়নি। ফলে এই বিশেষ ট্রেন খালি যেতেই বাধ্য হয়। রেল কর্মকর্তাদের দাবি, যথেষ্ট প্রচারণা চালালেও ট্রেনে কৃষিপণ্য পরিবহনে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। আগামী দিনে সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা তাদের।
পাকশী রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এ কে এম নুরুল আলম বলেন, প্রতিদিন এই ট্রেনে ১২০ টন কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। তবে প্রথম দিনে কৃষিপণ্য না গেলেও রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১৫০ কেজি ডিমের খালি খাঁচি পরিবহন করা হয়েছে। এই ট্রেনে প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য পরিবহনে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে খরচ পড়বে ১ টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে খরচ পড়বে সর্বোচ্চ ১ টাকা ১৮ পয়সা। প্রতি শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী হয়ে ১৪টি স্টেশন থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে ট্রেনটি।