জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা। আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলো হলো সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন বশির আহমেদসহ ১৪, ১৫ ও ১৭ জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সব শিক্ষককে তদন্ত চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিতে হবে; অতি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সদস্য ও জুলাই গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর ক্লাস, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও হলে পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ও দ্রুত সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ১৪, ১৫ ও ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু হামলার ঘটনার তিন মাস পার হয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো টালবাহানা করছে। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে প্রশাসন। অতি দ্রুত তাঁদের দাবি মেনে নিতে হবে। না হলে তাঁদেরও টেনে নামানো হবে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, ১৫ জুলাই ছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কালো রাত। ১৫ ও ১৭ জুলাই পুলিশ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শিক্ষার্থীদের ওপর জঙ্গি স্টাইলে হামলা চালায়। অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা এ হামলায় প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মদদ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন, মদদদাতা ব্যক্তিরা বহাল তবিয়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তাঁরা প্রশাসনকে স্পষ্ট করে বলতে চান, তদন্ত সাপেক্ষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন এবং সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিন।