ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনা
ভান্ডারিয়ায় লাশ দাফনে প্রতি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার আটজন ঝালকাঠিতে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ৫০ হাজার টাকা সহায়তা করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঝালকাঠির সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন একটি পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘বাসার স্মৃতি’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস পড়ে যায়। এতে বাসের ১৭ যাত্রী নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আটজনের বাড়ি ভান্ডারিয়া উপজেলায়। স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভান্ডারিয়া থেকে বাসটি বরিশালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে ভান্ডারিয়া পৌরসভার মধ্য ভান্ডারিয়ার সালাম মোল্লা (৬০), তাঁর ছেলে শাহীন মোল্লা (২৫), পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওষুধ ব্যবসায়ী তারেক রহমান (৪৫), ভান্ডারিয়া উপজেলার পশুরবুনিয়া গ্রামের জালাল হাওলাদারের শিশুকন্যা সুমাইয়া আক্তার (৬), একই উপজেলার রিজার্ভ পুকুরের পাড় এলাকার রহিমা বেগম (৬০), তাঁর ছেলে আবুল কালাম হাওলাদার (৪৫), একই উপজেলার উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের রাবেয়া বেগম (৮০) ও তেলিখালী ইউনিয়নের সাদিয়া নিহত হন।
খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম ও ভান্ডারিয়া পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ফাইজুর রশিদ জোমাদ্দার ঝালকাঠিতে ছুটে যান। তাঁরা লাশগুলো নিহত ব্যক্তিদের বাড়িতে পৌঁছে দেন এবং প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। গতকাল রাতে নিহত ব্যক্তিদের জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে।