হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে হলে মামলা করতে হবে, অন্য পথ নেই: গণপূর্তমন্ত্রী
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘আমি যদি আইনের শাসনে বিশ্বাসী হই, তাহলে সব মামলা তুলে নেওয়ার কথা বলতে পারি না। আইনের শাসনে যদি বিশ্বাসী হই, তাহলে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হোক, সেটা আমি বলব। মুষ্টিমেয় কিছু নয়, সব হত্যার বিচার দাবি করব। হত্যাকারী যারাই হোক, তাদের সবার আমি বিচার দাবি করব। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে হলে মামলা করতে হবে। আর অন্য কোনো পথ নেই।’
আজ বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এই আলোচনা সভা ও সফল মৎস্যচাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা ছিল দেশদ্রোহিতামূলক। ওই ভূমিকা থেকে তারা এখনো সরে আসেনি। তাদের ভূমিকা এখনো দেশদ্রোহিতামূলক। জামায়াত একমাত্র দল যে দল থেকে সবচেয়ে বেশি যুদ্ধাপরাধীর সাজা হয়েছে। তাই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে প্রচেষ্টা, তা যথার্থ।
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল থাকতেই পারে। যাঁরা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করেন, তাঁরা করুক। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দল যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে, সেগুলোকে বন্ধ করার কথা উঠেছে। জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে প্রচেষ্টা, এটাকে তিনি স্বাগত জানান।
এর আগে মৎস্য সপ্তাহের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক মাছ আহরণে দেশ এখনো পিছিয়ে আছে। সমুদ্রে মৎস্য আহরণে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। কিন্তু দেশের জেলেদের সেই সক্ষমতা নেই। মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে সক্ষম করে জেলেদের গড়ে তোলার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মৎস্য সপ্তাহের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবীর, সিভিল সার্জন মো. বেলায়েত হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ। পরে মন্ত্রী সফল মৎস্যচাষিদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নদী, খাল, বিল, পুকুরসহ বিভিন্ন জলাশয় মিলিয়ে ৭২ হাজার ৮৬৩ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে, যা জেলায় চাহিদা অনুযায়ী সক্ষম। এ ছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে জেলায় উৎপাদিত ১৯০ কোটি টাকার মাছ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে।