সুনামগঞ্জ সীমান্তে সাড়ে ১৯ লাখ রুপিসহ তরুণ আটক
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের সীমান্ত এলাকায় সাড়ে ১৯ লাখ ভারতীয় রুপিসহ এক তরুণকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ কলাউড়া গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে দোয়ারাবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটক তরুণের নাম হৃদয় মিয়া (২৫)। তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ভাওয়ালীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবির বাংলাবাজার বিওপির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবুল বাশার আজাদ জানান, বাংলাদেশ থেকে রসুন, সুপারি, শিং, ইলিশ মাছসহ নানা পণ্য অবৈধভাবে ভারতে পাঠায় একটি চক্র। হৃদয় মিয়া চোরাচালানে জড়িত। গতকাল রাত সাড়ে সাতটার দিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন তিনি। পরে বিজিবি সদস্যেরা তাঁকে দক্ষিণ কলাউড়া গ্রাম থেকে আটক করেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়।
হৃদয়ের বরাত দিয়ে বিজিবি দাবি করেছে, পণ্য পাচারের বিষয়টি হৃদয় শিকার করেছেন। ওই অর্থ নিয়েই তিনি দেশে এসেছেন। এর পেছনে একটি চোরাচালান চক্র জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির সুবেদার আবুল বাশার আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাছে তিনি (হৃদয়) বলেছেন এসব রুপি তাঁর নিজের। তবে স্থানীয় লোকজন বলেছেন, তিনি বাহকমাত্র। এলাকায় একটি চোরাচালান চক্র আছে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার পতনের পর দোয়ারাবাজার সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে। সীমান্তের ১২৩৪ থেকে ১২৩৬ পিলার পর্যন্ত কাঁটাতারের কোনো বেড়া নেই। এ দিক দিয়েই রাতে চোরাচালান হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এ পথে রসুন, সুপারি, ইলিশ, শিং মাছসহ নানা পণ্য চোরাচালান করা হয়। অন্যদিকে ভারত থেকে আনা হয় গরু, চিনি, পেঁয়াজ, মাদকসহ অন্য পণ্য। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি এ চোরাচালানের হোতা।
গত দুই দিনে সীমান্তের কলাউড়া এলাকায় ভারতে পাচারের চেষ্টার সময় ৪ টন রসুন, ৪ টন সুপারি ও ২ টন শিং মাছ এবং ঘিলচড়া এলাকা থেকে ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আটক ওই তরুণের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হবে।