দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে ১৪-দলীয় জোটসমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবারও বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর কাছে হেরেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা।
১১৪টি কেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ ফলাফলে নৌকা প্রতীকে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট।
জিয়াউল হক মোল্লা বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী সদস্য। তিনি দলটি থেকে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দলে সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হন জিয়াউল হক মোল্লা। এরপর বিএনপিতে তিনি ‘সংস্কারপন্থী’ হিসেবে পরিচিতি পান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁকে বাদ দিয়ে মোস্তফা আলীকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের খসড়া তালিকায় তিনি ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর বদলে মোশারফ হোসেনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে দলটির সাবেক সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবারের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রথমে কাহালু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজকে নৌকার মনোনয়ন দেয়। পরে আসন ভাগাভাগি হলে জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমকে আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। রেজাউল দলীয় প্রতীক মশালের বদলে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।