প্রশাসনের আশ্বাসে ৪ ঘণ্টা পর মহাসড়ক ছাড়লেন রুয়েটের শিক্ষার্থীরা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আশ্বাসে প্রায় চার ঘণ্টা পর ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে মহাসড়কটির তালাইমারী মোড়ে থেকে সরে যায় তাঁরা।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে সড়কটি অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় নানা স্লোগান দেন তাঁরা। এতে রাজশাহীর অন্যতম এ প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।
বেলা আড়াইটার দিকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ বিল্লাহ রিফাত বলেন, শিক্ষকদের নিয়ে রাজশাহী আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। যেহেতু আসামিরা জামিন পেয়েছেন এ কারণে পুলিশকে দ্রুত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ জন্য পুলিশকে সাত দিনের সময় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশও দৃশ্যমান অগ্রগতির আশ্বাস দিয়েছে। এ ছাড়া রুয়েটের শিক্ষার্থীরা রাজশাহীর কোথাও অনিরাপদে থাকবেন না, পুলিশ এটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, ছাত্রদের নিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন তিনি। পুলিশের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়গুলো দেখতে চেয়েছে। অভিযোগপত্রসহ বিচারিক কাজও যাতে দ্রুত হয়, সে আশ্বাস পাওয়া গেছে। রুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনিভাবে এটি মোকাবিলা করবে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান।
১৬ ডিসেম্বর রাতে দুই দফা হামলার শিকার হন রুয়েট শিক্ষার্থীরা। নগরের পদ্মা আবাসিক এলাকার পাশে হজোর মোড়ে এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ হামলায় তিন শিক্ষার্থী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই রুয়েটের উপপরিচালক (নিরাপত্তা) জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেন। রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে দুই দিন পর জামিনে ছাড়া পান দুজন। রুয়েট বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ছিলেন না।