জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা খুনের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির ভাই এ অভিযোগ করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের শানপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিয়াজ উদ্দিন (৪৭)। তিনি একই গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে। অভিযুক্ত ভাতিজা মো. সুমন হোসেন (২৫)।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শানপুকুরিয়া গ্রামের হোসেন আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল তাঁর ভাই রিয়াজ উদ্দিনের। আজ দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমির গাছ থেকে কাঁঠাল কাটতে যান হোসেন আলীর স্ত্রী নাছিমা খাতুন। এ সময় রিয়াজ উদ্দিন কাঁঠাল কাটতে বাধা দেন। এ নিয়ে নাছিমা খাতুন, হোসেন আলী ও তাঁদের ছেলে সুমন হোসেনের সঙ্গে রিয়াজ উদ্দিনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর চাচা রিয়াজকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রিয়াজের ভাই মো. লতিফ শেখ অভিযোগ করেন, ৩৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। সেই জমির গাছ থেকে আজ সকালে নাছিমা খাতুন কাঁঠাল পাড়তে যান। রিয়াজ তাতে বাধা দিলে নাছিমা, হোসেন আলী ও তাঁদের ছেলে সুমন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে সুমন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রিয়াজকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন।
ঘটনার পর সরেজমিনে শানপুকুরিয়া গ্রামের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। নিহত রিয়াজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে ছোপ ছোপ রক্ত চোখে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুমন হোসেন ও তাঁর মা-বাবা গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেন, জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। এ নিয়ে কীভাবে এ ঘটনা ঘটে গেল, তিনি তা বুঝতে পারেননি।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছ। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।