প্রয়াত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ছেলের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর
বরিশালের মুলাদী থেকে উদ্ধার হওয়া প্রয়াত অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ছেলে এ টি এম খালেকুজ্জামানের (৪৬) লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিফাতুল হায়দার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। তাঁর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এখন ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় মুলাদী থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে। আজ ময়নাতদন্ত শেষে খালেকুজ্জামানের লাশ তাঁর ভগ্নিপতি জিয়াউল হক গ্রহণ করেন।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের জয়ন্তী নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় খালেকুজ্জামানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, এ টি এম খালেকুজ্জামান কোনো কাজ করতেন না এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। ২৪ অক্টোবর সকালে খুলনায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে ঢাকার বাসা থেকে বের হন খালেকুজ্জামান। এরপর তাঁর মা কিংবা পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ২৬ অক্টোবর খালেকুজ্জামানের মা মুঠোফোনে তাঁকে কল দেন, কিন্তু তিনি কলটি কেটে দিয়েছিলেন। এর পর থেকে মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। খালেকুজ্জামান ঢাকার সূত্রাপুর থানার দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে বসবাস করতেন।