দুই সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণার পর আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে প্রায় ১১টা পর্যন্ত আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা এ কথা জানান। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, চালককে গ্রেপ্তারের দাবি পূরণ হয়েছে। ক্ষতিপূরণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তহবিল গঠন করবে। যেখানে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, সব শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহযোগিতা করবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক প্রশস্ত করার কাজ দ্রুত শুরু হবে। এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের আয়োজন করা হবে। ফলে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, আন্দোলন স্থগিত করার কারণে আগামীকাল সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়েছে। এতে হল ছাড়ার বিষয়ে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভার মাধ্যমে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। বেলা দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা চলে। এরপর রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাস বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিলের সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম। উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
দুই সহপাঠী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর চার দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। হল ছাড়ার নির্দেশনা পেয়ে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। ক্যাম্পাসের স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় থাকা ও মূল ফটকে রাখা শাহ আমানত পরিবহনের দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন উপাচার্যকে।