৫৯০ দিন পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু
করোনা মহামারিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন সশরীরে ক্লাস বন্ধ ছিল। ৫৯০ দিন পর আজ মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশীরে ক্লাস শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা। পুরো ক্যাম্পাস এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণে এখন মুখরিত। বিভাগগুলোও নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় ভার্চ্যুয়াল ক্লাস। এর আগে সশরীরে বিভিন্ন বিভাগে কয়েক ধাপে চূড়ান্ত পরীক্ষাও হয়েছে। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ অক্টোবর সিন্ডিকেট সভায় সশরীরে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর ২৭ অক্টোবর খুলে দেওয়া হয় চারটি হল।
আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি বিভাগ ও শ্রেণিকক্ষের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মুক্তমঞ্চ বা কাঁঠালতলার মতো স্থানগুলোয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা দিতে দেখা গেছে। উপাচার্য এমরান কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা শিক্ষকেরা বিভিন্ন ভবনে গিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জালাল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের দেখতে পারছি। খুবই ভালো লাগছে।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে কর্মপরিকল্পনা সভা করা হয়েছে। দীর্ঘ সময়ের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য সবার মতামত নেওয়া হয়েছে। সবাইকে একসঙ্গে দেখে ভালো লাগছে।
উপাচার্য বলেন, সশরীরে আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। সকালে সব ভবন ঘুরে দেখা হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসেছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ বিভাগেই পরীক্ষা চলছে।