১৪ দিন পর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের লাশ ফেরত দিল বিএসএফ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি এক যুবকের লাশ দেশে এসেছে। শনিবার বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে এ লাশ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
নিহত ওই যুবকের নাম লিটন হোসেন (৩৫)। তিনি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী বিলগাথুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
দৌলতপুর থানা–পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ মার্চ রাত ১০টা ৫ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোয়াটসঅ্যাপে দৌলতপুর থানার ওসিকে কয়েকটি ছবি পাঠিয়ে ফোন করেন। হোগলবাড়িয়া থানার ওসি জানান, রাতে সীমান্তে বিএসএফের সঙ্গে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। দেখে মনে হয়েছে, ওই যুবক বাংলাদেশি হতে পারেন। লাশ তাঁদের থানায় রাখা আছে। খোঁজ নিয়ে তথ্য জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সব এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে ছবি পাঠানো হয়। ছবি দেখে বিলগাথুয়া মাঠপাড়া এলাকার আকবর বিশ্বাস তাঁর ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। পরে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। নিহত লিটন হোসেন ভারত থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে আসতেন বলে এলাকার কয়েকজন তাঁকে জানিয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ নেই।
দৌলতপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল ৫টায় ১৫১/১৪ (এস) সীমান্ত পিলারসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কুমড়িপাড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। সেখানে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) নায়েক সুবেদার আমজাদ হোসেন। এ সময় দৌলতপুর থানা পুলিশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, তেকালা ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউর রহমান। বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪১ বিএসএফ কমান্ডেন্ট অধীনস্থ হোগলবাড়িয়া থানার চরমেঘনা ক্যাম্পের ইনচার্জ রাজেশ টিকে লাকরা। পতাকা বৈঠক শেষে বিএসএফের পক্ষ থেকে লিটনের লাশ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিজিবি লাশ গ্রহণ শেষে নিহত লিটনের ছোট ভাই শিপন হোসেনের কাছে তা বুঝিয়ে দেয়।
দৌলতপুর থানার ওসি এস এম জাবীদ হাসান লাশ হস্তান্তরের বিষটি নিশ্চিত করে জানান, নিহত লিটন বিশ্বাসের ছোট ভাই শিপন হোসেনের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতেই তাঁরা পারিবারিকভাবে দাফন সম্পন্ন করবেন।