সীতাকুণ্ডে স্থগিত ২ কেন্দ্রের পুনর্নির্বাচন ৩০ নভেম্বর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়ায় স্থগিত দুই কেন্দ্রের নির্বাচন ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন থেকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১ নভেম্বর ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং ৫ ওয়ার্ডের বোয়ালিয়াকুল এতিমখানা কেন্দ্রে জোরপূর্বক ব্যালটে সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্র দুটিতে ভোট গ্রহণ স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। এ কারণে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে চূড়ান্ত ফলাফল হয়নি। ৩০ নভেম্বর ভোট গ্রহণের পর চেয়ারম্যান ও দুটি ওয়ার্ডের নারী ও সাধারণ সদস্যদের ফলাফল ঘোষণা হবে।
মো. কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণে বুথ ও কর্মকর্তার সংখ্যা আগের মতো হবে। তবে কর্মকর্তা পরিবর্তিত হবে। এ নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক প্রথম আলোকে বলেন, আগে ওই দুই কেন্দ্রে আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৭ সদস্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন দ্বিগুণের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে ঠিক কতজন থাকবে, তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ওই ইউনিয়নের স্থগিত হওয়া দুই কেন্দ্রের ফলাফল ছাড়া বাকি সাত কেন্দ্রের ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর ৩ হাজার ৪৬৯ ভোটের ব্যবধানে বিদ্রোহী প্রার্থী আরিফুল আলম চৌধুরীর চেয়ে এগিয়ে আছেন।
১১ নভেম্বর দুপুরে বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সাতজন গুলিবিদ্ধসহ মোট ১৬ জন আহত হন। এর মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও আছেন। এরপর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে মারধর করে ব্যালট পেপারের তিনটি বই ছিনতাই করেন এক ইউপি সদস্য প্রার্থীর লোকজন।
এ ঘটনায় পরদিন ইউপি সদস্য প্রার্থী মো. সেলিম উদ্দিনসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ওই রাতেই সেলিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই সময়ে বোয়ালিয়াকুল এতিমখানা কেন্দ্র দখল করেন অপর ইউপি সদস্য প্রার্থীর লোকজন। এ কারণে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।