২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

শেষ হয়নি পিআইসি গঠন, তবু কাজ শুরু

নীতিমালা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের কাজ শেষ করার কথা ছিল।

সুনামগঞ্জের ধরমপাশায় ধানকুনিয়া হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার
প্রথম আলো

সুনামগঞ্জের ছয়টি উপজেলায় গতকাল বুধবার ফসল রক্ষা বাঁধের ১৮টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের নেতারা বলেন, প্রকল্পের সংখ্যা কম হলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হওয়া ইতিবাচক। কিন্তু নভেম্বর মাসের মধ্যে সব হাওরে প্রকল্প নির্ধারণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো সেটি হয়নি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, শাল্লা ও ধরমপাশা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ১৮টি প্রকল্পে কাজ শুরু হয়। জেলায় এ পর্যন্ত ২৪৭টি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের কাজে এবার প্রাথমিক বরাদ্দ হিসেবে ৬৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। বিভিন্ন হাওরে পানি থাকায় প্রকল্প নির্ধারণের কাজ এখনো চলছে।

হাওরে বাঁধের কাজের নীতিমালা অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠনের কাজ শেষ করতে হবে। কাজ শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে। কাজ শেষ করার কথা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। কাজের জন্য স্থানীয় কৃষক ও সুবিধাভোগীদের নিয়ে পিআইসি গঠন করা হয়। পাঁচ থেকে সাত সদস্যের প্রতিটি পিআইসি সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার কাজ করতে পারবে।

‘হাওর বাঁচাও আন্দোলন’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘নভেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্প নির্ধারণ ও পিআইসি গঠন করার কথা। কিন্তু এখনো প্রকল্প নির্ধারণ শেষ হয়নি। পিআইসি গঠনের কোনো খবর আমাদের কাছে নেই। গণশুনানি করে এসব করার কথা। কিন্তু এটি কোথাও হচ্ছে না’।

ধরমপাশার ধানকুনিয়া হাওরের মুক্তারপুর ও মামুদনগর গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় মাটি কেটে ফসল রক্ষা বাঁধের এ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

কৃষকদের অভিযোগ, পিআইসি গঠনে এলাকার রাজনৈতিক নেতারা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে। ফলে পিআইসি গঠন কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে হাওরের বোরো ফসল রক্ষা নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কায় রয়েছেন।

পাউবো সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, যথা সময়ে এবার বাঁধের কাজ শুরু করা গেছে। বিভিন্ন হাওরে এখনো পানি আছে, তাই সব স্থানে কাজ করা যাবে না। পর্যায়ক্রমে সব উপজেলাতে কাজ শুরু হবে।