শেরপুরে মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার সংঘর্ষে সেনাসদস্য নিহত
শেরপুরে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের শেরপুর সদর উপজেলার তাতালপুর বাজারের গাউসিয়া মার্কেটের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশার ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন।
নিহত সেনাসদস্যের নাম মো. হুমায়ন কবির (২১)। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে। হুমায়ন খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে সৈনিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আহত অটোরিকশার যাত্রীরা হলেন শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের আবদুল মোতালেবের ছেলে নাঈম (২১), ঝিনাইগাতী উপজেলার খৈলকুড়া গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে আবদুর রহিম (৪০), ঝিনাইগাতী থানা রোডের বাহাদুরের ছেলে সাকিব আল হাসান (১৯) ও নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী বাজারের মুকসুদ আলীর ছেলে আতিক (১৮)। তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা একটার দিকে সেনাসদস্য হুমায়ন কবির শেরপুর শহর থেকে মোটরসাইকেলে করে গড়জরিপা গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের তাতালপুর বাজার এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবোঝাই একটি অটোরিকশার সঙ্গে হুমায়ন কবিরের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হুমায়ন কবির ও অটোরিকশার চার যাত্রী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমায়ন কবিরকে মৃত ঘোষণা করেন।
হুমায়ন কবিরের মামা মিস্টার আলী প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছর আগে হুমায়ন সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে যোগ দেন। কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর কর্মস্থল খাগড়াছড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। তবে এর চালক পালিয়েছেন।