লামায় মন্দিরে হামলা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২

বান্দরবান জেলার মানচিত্র

বান্দরবানের লামায় হরিমন্দিরসহ পূজামণ্ডপে হামলা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাটের ঘটনায় সোমবার আওয়ামী লীগের সমর্থক ও শ্রমিক লীগের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় করা ৩টি মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। তাঁদের মধ্যে তিনজন ২১ অক্টোবর জামিন পেয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ জুম্মান জানিয়েছেন, ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করে প্রত্যক্ষভাবে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। রোববার রাতে ও সোমবার অভিযান চালিয়ে মোশারফ হোসেন আরিফ ও মো. সালাউদ্দিন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মো. সালাউদ্দিন পৌর শ্রমিক লীগের সদস্য ও মোশারফ হোসেন আরিফ আওয়ামী লীগের সমর্থক বলে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।

লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিং জানিয়েছেন, দুজনকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালত লুটপাটের ঘটনায় মো. সালাউদ্দিনকে দুই দিনের এবং মোশারফ হোসেন আরিফকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ারদীঘি এলাকায় পবিত্র কোরআন নিয়ে ঘটনার পর ১৪ অক্টোবর লামা উপজেলা পরিষদ কার্যালয় এলাকায় তৌহিদী জনতার ব্যানারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হলে মিছিলকারীরা লামা কেন্দ্রীয় হরিমন্দির, মন্দিরের আয়োজিত পূজামণ্ডপে হামলা ও বাজারে হিন্দুদের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি এবং মন্দির কমিটির সভাপতি ও একজন ব্যবসায়ী বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, মামলায় তাঁদের নেতা–কর্মীদের আসামি করা হয়েছে।