রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় মাহমুদ হাবিব ওরফে হিমেলের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গতকাল মঙ্গলবার রাতে মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার। এদিকে আজ বুধবার সকালে জানাজার জন্য নিহত ছাত্রের মরদেহ ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাহমুদের মরদেহ প্রথমে চারুকলা অনুষদে নেওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণ রাখার পর সকাল সোয়া ১০টার দিকে জানাজার জন্য তাঁর মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডে প্রথম আলোকে বলেন, ‘জানাজা শেষে মাহমুদের মরদেহ তাঁর মায়ের বাড়ি নাটোরের কাপুড়িয়াপট্টিতে নেওয়া হবে। মরদেহের সঙ্গে তাঁর মা ও মামা আছেন।’
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গতকাল রাতেই উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মো. লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন। মাহমুদের মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা উপাচার্যের কাছে লিখিতভাবে ৭ দফা দাবি দিয়ে সকাল পর্যন্ত আন্দোলনে বিরতি ঘোষণা করেন।
একই দুর্ঘটনায় আহত মাহমুদের বন্ধু মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান প্রামাণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আজ সকালে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কনক কুমার পাঠক প্রথম আলোকে বলেন, ‘রায়হানের ডান পায়ের গোড়ালির কাছে সেলাই করা হয়েছে। সে শঙ্কামুক্ত বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।’
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর প্রসঙ্গে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিগুলোর বিষয়ে আজ আবার কথা বলবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে উপাচার্য পাঁচ লাখ টাকার একটি চেক মাহমুদের মায়ের হাতে তুলে দেবেন।’