বৃষ্টিতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ এলাকা
মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হচ্ছিল। আজ বুধবার সকালের দিকে তা ভারী বৃষ্টিতে রূপ নেয়। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন নগরের অফিসগামী মানুষ।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর নগরের আমবাগান আবহাওয়া দপ্তর বলেছে, একই সময়ের ব্যবধানে সেখানে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমদ বলেন, আমবাগানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোয় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল। তিনি আরও বলেন, কোনো সতর্কসংকেত নেই। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
গতকাল মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম নগরের জামালখান বাই লেন, রহমতগঞ্জ, কাপাসগোলা, ডিসি রোড, ষোলশহর, বাকলিয়া, হালিশহর, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কোথায় হাঁটু, কোথাও কোমরপানি জমেছে। এ কারণে সকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামী মানুষের।
চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা সম্পদ দে। তিনি আজ সকাল পৌনে নয়টায় জামালখান বাই লেনের বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু বাই লেনের সেতুর কাছে পানি জমে থাকায় আটকে যান তিনি। এরপর তিনি একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেন। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘জামালখান বাই লেনে আমাদের বাসার গলিতে বুকসমান পানি। স্মরণকালের রেকর্ড পরিমাণ পানি জমেছে এখানে। বাসার নিচতলা ডুবুডুবু হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের হেলদি ওয়ার্ডখ্যাত জামালখান ওয়ার্ডে এই জলাবদ্ধতা বিগত দিনে দেখিনি।’
সম্পদ দে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথম চেষ্টায় অফিস যেতে পারিনি। বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা কিছুটা কমার পর এখন সোয়া ১০টায় বের হচ্ছি অফিসের উদ্দেশে।’
এ প্রসঙ্গে নগরের ডিসি রোডের বাসিন্দা সাহেদ মুরাদ বলেন, ডিসি রোডে হাঁটুপানি জমেছে। পাশের খালের পানিতে সড়ক ডুবে গেছে। চকবাজার ধোনির পুল থেকে ডিসি রোড যাওয়ার মুখে পানি প্রায় কোমরসমান। মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। রিকশা ছাড়া অন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।