২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে: পুলিশ সুপার

মামুনুল হক
ফাইল ছবি

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রাথমিক প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ।
আজ রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৬ মামলায় ১৮ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।  


পাকিস্তানকেন্দ্রিক জঙ্গি সংগঠন ও দেশীয় জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলই ছিল মামুনুল হকের মূল লক্ষ্য।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, আমির খসরু, শফিউল ইসলাম, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, মামুনুল হক একাধিক মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। এসব মাদ্রাসার নামে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন। কিন্তু সংগ্রহ করা বেশির ভাগ অর্থই মাদ্রাসার ছাত্রদের পেছনে ব্যয় না করে তিনি নিজেই ব্যবহার করতেন এবং বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় সংগঠনের কাজে অর্থ ব্যয় করতেন। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের উচ্চাভিলাষ থেকে ধর্মভিত্তিক দলের নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি বলেন, তাঁর অর্থনৈতিক লেনদেনের বেশির ভাগ আইনসিদ্ধ নয়, আইনগত বৈধতা নেই।

বিয়ের প্রলোভনে এক নারীকে ধর্ষণের প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘শরিয়ত মতো বিয়ে করার বিষয়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি দিতে পারেননি মামুনুল হক। কোন কাজি তাঁর বিয়ে পড়িয়েছেন, সেটি তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তিনি যেগুলো বলেছেন, সেগুলো বাস্তবিক অর্থে কোনো বিয়ে নয়। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যেটা আছে, কাউকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক করা ধর্ষণের আইনের মধ্যে পড়ে। দুই বছর ধরে ওই নারীকে ধর্ষণ করে আসছেন মামুনুল। ধর্ষণের যে অভিযোগ ওই নারী করেছেন, সেটির প্রাথমিকভাবে প্রমাণ আমরা পেয়েছি। আমরা আশা করছি, ওই নারী সুবিচার পাবেন। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের যে সময় আছে, ওই সময়ের মধ্যে আমরা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব বলে আশা করছি।’

পিবিআই পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, মামুনুল হক হরতালের তিন দিন গত ২৫ মার্চ নারায়ণগঞ্জে এসে নেতা–কর্মীদের উজ্জীবিত করে যান। হরতালের নাশকতার তিন দিন পর ৩১ মার্চ তিনি আবার নারায়ণগঞ্জে একটি মাদ্রাসায় এসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নারায়ণগঞ্জের আসার কথা স্বীকার করেছেন এবং প্রযুক্তির মাধ্যমেও বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তিনি বলেন, হরতালের সহিংসতার পেছনে উসকানিমূলক বক্তব্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি।
মামুনুল হক এখন কাশিমপুর কারাগারে।