মতলব উত্তরে গাড়ি ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ থেকে ৩০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মঞ্চে ভাঙচুর চালানো হয়
ফাইল ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর মতলব উত্তর থানায় ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০৭ জনসহ মোট ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিল্লাল হোসেন তপাদার।

বিল্লাল হোসেন মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং স্থানীয় যুবলীগের নেতা। তিনি চাঁদপুর-২ আসনের সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার মতলব সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় মো. নুরুল আমিন রুহুল ও সাবেক ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, চাঁদপুরে আওয়ামী লীগের আয়োজিত তৃণমূল নেতাদের সভায় যোগদানের জন্য শনিবার সকাল থেকে মতলব সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় মো. নুরুল আমিন রুহুল ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা জড়ো হন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই পথ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ জেলা শহরে যাওয়ার সময় সাংসদ রুহুলের অনুগত নেতা-কর্মীরা তাঁদের বানানো মঞ্চে ওই নেতাদের অভিনন্দন জানান।

দীপু মনি, মাহবুব উল আলম হানিফ, নুরুল আমিন রুহুলসহ অন্য নেতারা সেখান থেকে চলে যাওয়ার পর মায়া চৌধুরীর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে রুহুলের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা রুহুলের লোকজনকে মারধর করেন এবং তাঁর অনুসারীদের ২৫ থেকে ৩০টি ব্যক্তিগত গাড়ি ও মঞ্চে ভাঙচুর চালান। এতে সাংসদ রুহুলের ১০ জন কর্মী আহত হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

মতলব উত্তর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীর ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা সবাই মায়া চৌধুরীর অনুগত নেতা-কর্মী ও সমর্থক। আজ সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হননি বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে সাংসদ মো. নুরুল আমিন রুহুল অভিযোগ করে বলেন, মায়া চৌধুরীর ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপুর নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় মঞ্চে টানানো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ছবিও ভাঙচুর করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী বলেন, এ হামলার ঘটনায় তাঁরা জড়িত নন।