বারি আম-১৩ নামের নতুন একটি রঙিন আম অবমুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) ১৫ বছরের গবেষণা সাফল্যের মুখ দেখল। সম্প্রতি কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটকে আমটি অবমুক্ত করার অনুমোদন দিয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হরিদাশ চন্দ্র মোহন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো বারি আমের তালিকায় একটি সংকরায়িত রঙিন আম যুক্ত হলো। অবসান হলো দীর্ঘ অপেক্ষার। দেশের আমপ্রেমী ও চাষিদের জন্য এটা একটা দারুণ সুখবর। সামনে গাছ লাগানোর মৌসুমেই এর চারা আমরা আমচাষিদের হাতে তুলে দিতে পারব।’
আমটির সংকরায়ণ ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন, ২০০৫ সালে বারি আম-৩, অর্থাৎ আম্রপালি ও যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে সংগ্রহ করা রঙিন আম পালমারের মধ্যে সংকরায়নের মাধ্যমে আমটি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আম্রপালিকে মা ও পালমারকে বাবা ধরে সংকরায়ণ করে Hy-059 লাইন সৃষ্টি করা হয়। আমটির ফলন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ১০ বছর ধরে।
আমটি লম্বাটে ও মাঝারি আকারের নাবি জাতের, অর্থাৎ মৌসুমের শেষ দিকের। এর সংগ্রহকাল জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। গড় ওজন ২২০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় আমটি রসালো আঁশবিহীন ও মিষ্টি এবং শাঁস গাঢ় কমলা রঙের। ত্বকের রং মেরুন। মিষ্টতা ২১ শতাংশ। ভক্ষণযোগ্য অংশ ৭৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ।