সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ মামলায় তিন আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার তাঁদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। তাঁরা হলেন মামলার ১ নম্বর আসামি সাইফুর রহমান, ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ও ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম।
আজ শুক্রবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে তাঁদের সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১–এর বিচারক মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে নেওয়া হয়। এ মামলায় বর্তমানে আরও পাঁচ আসামি রিমান্ডে রয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে আসামি অর্জন লস্কর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে শুরু করেছেন।
এর আগে দুপুরে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযুক্ত তিন আসামিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হয়েছে। আদালতে তাঁরা সবাই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন কি না, সেটি বলা যাচ্ছে না।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক দম্পতি নিজেদের গাড়ি নিয়ে এমসি কলেজ এলাকায় বেড়াতে যান। সিলেট-তামাবিল সড়কের পাশেই কলেজটির অবস্থান। ১২৮ বছরের পুরোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রধান ফটক পেরিয়ে ভেতরের মাঠে অনেকেই বেড়াতে যান। ওই দম্পতির জন্য সেদিন সন্ধ্যায় সেখানে বেড়াতে যাওয়াই কাল হয়। রাস্তার পাশে গাড়ি থামিয়ে একপর্যায়ে স্বামী যখন সিগারেট কিনতে যান, তখন তাঁর স্ত্রীকে এক দল তরুণ উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। স্বামী ফিরে এসে ঘটনা দেখে প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করেন ওই তরুণেরা। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই গাড়িসহ জোর করে ছাত্রাবাসের দিকে তুলে নিয়ে যান তাঁরা। এরপর স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ করেন ওই তরুণেরা।
এ ঘটনায় তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছিলেন। ঘটনায় জড়িত তরুণেরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরই সারা দেশে তোলপাড় ফেলে এ ঘটনা।